Search Here

Breaking News

স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা বা এলডিসি থেকে বের হলে বাংলাদেশের লাভ ক্ষতি ( Bangladesh in LDC )

স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা বা এলডিসি থেকে বের হলে বাংলাদেশের লাভ ক্ষতি
বাংলদেশের স্বল্পোন্নত দেশের সংগঠন (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওোর সব শর্ত পূরণ হওয়ায় বিশ্ব ইকোনমিক সোস্যাল কাউন্সিল আগামী মার্চ মাসে বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ঘোষণা করবে। স্তর পরিবর্তনের সময় পাওয়া যাবে তিন বছর, ২০২৪ সালে তা কার্যকর হবে।তবে বাংলাদেশ এলডিসি দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যেসব সুবিধা ভোগ করছে, অন্তর্বর্তীকালীন হিসেবে ২০২৭ সাল পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে।
জাতিসংঘের অর্থনৈতিক সামাজিক সংগঠনের তথ্যমতে মধ্যম আয়ের দেশ হতে হলে নিম্নোক্ত তিন শর্তাবলী পূর্ণ করতে হয়। যার প্রতিটি বাংলদেশ অর্জন করছে।
প্রথমত , মাথাপিছু আয় ১২৪২ মার্কিন ডলার হতে হয়, বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ১৬১০ মার্কিন ডলার এবং গড় প্রায় ১৩০০ মার্কিন ডলার।
দ্বিতীয়ত, মানব সম্পদের উন্নয়ন অর্থাৎদেশের ৬৬ ভাগ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হতে হয়, বর্তমানে বাংলাদেশের ৭২ ভাগ মানুষের জীবনযাত্রার মানের উন্নতি হয়েছে।
তৃতীয়ত, অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতার মাত্রা ৩০ ভাগের নিচে হতে হবে, বাংলাদেশে মুহূর্তে তা ২৬ ভাগ অর্জন করেছে।
বাংলাদেশের লাভ হবে 
১।জিএসপি প্লাস পাবে।কিন্তু সুবিধা পেতে হলে দেশগুলোকে বেশকিছু কঠিন শর্ত পালন করতে হবে। বাংলাদেশ এসব শর্ত পরিপালনের জন্য মোটেও প্রস্তুত নয়। যেমন জিএসপি-প্লাস সুবিধা পেতে হলে নিশ্চিতভাবেই আন্তর্জাতিক মানের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। সর্বস্তরে ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সুষম বণ্টন ব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে। এসব শর্ত পরিপালন আমাদের জন্য এখনও দুঃস্বপ্নের মতো।
২।FMT করে বাণিজ্য বাড়াতে পারবে
৩।ইউরোপীয় বাজারে কোটা মুক্ত বাণিজ্য করতে পারবে
৪। গরীব দেশের তকমাটা ওঠে যাবে ।মধ্যম আয় এবং উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার দিকে এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশের ক্ষতি 
১। স্বল্প সুদে পাওয়া ঋণের পরিমাণ কমবে।
২।স্বল্পন্নোত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশ বেরিয়ে গেলে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা ব্যহত হবে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেয়া জিএসপি সুবিধা আর বহাল থাকবে না। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ১৯৭৬ সাল থেকে বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা দিয়ে আসছে হঠাৎ করে বন্ধ হলে বাংলাদেশকে ধাক্কা সামাল দিতে হবে

৩। রপ্তানি কমে যাবে( যদি এখন থেকেই জিএসপি + আদায়ে গুরুত্ব দেয়া না হয় )কারণ তখন ইউরোপের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে না বাংলাদেশ। আর রপ্তানি আয়ের অর্ধেকের বেশিই আসে ইউরোপ থেকে।
৪।স্বল্পন্নোত দেশের তালিকায় থাকায় বাংলাদেশ এখন জনশক্তি রপ্তানির যে সুযোগ পাচ্ছে সেটিও সংকোচিত হবে।
৫।জিএসপি সুবিধা বাতিল হলে বাংলাদেশের রফতানি আয় সাড়ে শতাংশ থেকে শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।যদি সব এলডিসি দেশ ডিউটি ফ্রি পণ্য রফতানি সুবিধা হারায়, তাহলে বাংলাদেশের রফতানি হ্রাস পাবে সাড়ে শতাংশ।
৬।৪৭টি এলডিসি দেশ মোট ১৩৬ ধরনের বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করে থাকে। বিশেষ করে অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট, জলবায়ু অর্থায়ন, রুল অব অরিজিন বাজারে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রবেশাধিকার ইত্যাদি সুবিধা পেয়ে থাকে।এগুলো বাংলাদেশ হারাবে  মোট কথা , বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বের হলে দাতা উন্নত দেশগুলো সবাই বলবে তোমরা তো এখন উন্নত দেশ তোমাদের কেন আর সুবিধা দেব ? এই কেন দিব - এটিকে কনভিনস করে বাণিজ্য - বিনিয়োগ -জিএসপিপ্লাস প্রভৃতি সুবিধা আদায় করে নেওয়াই বাংলাদেশের সামনে মূল চ্যালেঞ্জ এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে টেকসই উন্নয়ন সুশাসন সবার আগে নিশ্চিত করতে হবে অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছে বাংলাদেশের জন্য কঠিন হবে ।আর বাংলাদেশ সরকার বাণিজ্যিক সংগঠন গুলো বলছে তারা এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে সক্ষম
তারা কতটুকু সক্ষম তা দেখার অপেক্ষায় ...

No comments