Search Here

Breaking News

BCS Preliminary: computer

#কম্পিউটার [ 38th BCS ]
------------------------------
বিগত বিসিএস প্রশ্নের আলোকে ১৫ টা টপিকস নির্ধারণ করা হয়েছে । এর মধ্যে থেকে ১২-১৪ টা কমন থাকবে । এই ভাবেই এই নোট এবং টপিকস ( সাব টপিকস ) সাজানো হয়েছে ।
 ইতিহাস এবং তথ্য প্রযুক্তির বড় প্রতিষ্ঠান               (১-২টা )
 প্রকার ভেদ ( কম্পিউটার , প্রজন্ম এবং পার্ট )          ( ১ টা   )
 ইনপুট আউটপুট                                             ( ১ টা    )
 মেমোরি এবং স্টোরেজ যন্ত্র                                ( ১ টা    )
 কম্পিউটার বাস এবং পোর্ট                                 ( ১ টা   )
 সফটওয়্যার এবং প্রোগ্রামিং ভাষা                         ( ১ টা   )
 ওয়ার্ড , এক্সেল , পাওয়ার পয়েন্ট                         ( ১ টা   )
 নাম্বার সিস্টেম এবং লজিক গেইট                        (১-২ টা )
 নেটওয়ার্ক                                                      ( ১ টা   )
 ইন্টারনেট                                                      ( ১ টা   )
 সামাজিক যোগাযোগের সাইট                             ( ১ টা    )
 ডেটা                                                            ( ১ টা    )
 মোবাইল টেকনোলোজি                                     ( ১ টা   )

-------------নোটঃ  টপিকস ০১ ও ০২ -------------
-----------------------------------------------------
        ইতিহাস এবং তথ্য প্রযুক্তির বড় প্রতিষ্ঠান
-----------------------------------------------------
১। জাপানে অ্যাবাকাসকে বলা হয় – সারোবান । রাশিয়াতে – স্কোসিয়া ।  এটি আবিষ্কৃত হয় খ্রিষ্টপূর্ব ২৪০০ সালে ব্যাবিলনে। অ্যাবাকাস ফ্রেমে সাজানো গুটির স্থান পরিবর্তন করে গননা করার যন্ত্র। খ্রিস্টপূর্ব ৪৫০/৫০০ অব্দে মিশরে বা চীনে গননা যন্ত্র হিসেবে অ্যাবাকাস তৈরি হয়।। এটিই প্রথম গণনা যন্ত্র তবে তখন শূনের ব্যবহার ছিল না । ভারতীয়তা সর্বপ্রথম শূন্যের ব্যবহার শুরু করে ।
২। ১৬১৪ সালে লগারিদমের প্রবর্তন করেন কে – জন নেপিয়ার
৩।   Stepped Reckoner নামে যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর সর্বপ্রথমকে তৈরি করেন- গটফ্রাইড ভন লিবনিজ  ( ১৬৭১ সালে)
৪। কে পাঞ্চকার্ড তৈরি করেন – জোসেফ মেরি জেকার্ড
৫।স্যার চার্লস ব্যাবেজঃ
 ব্যাবেজকে কম্পিউটারের জনক বলা হয় ।
 আধুনিক কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য ছিল- এনালিটিক্যাল ইঞ্জিনে
 ১৮২২ সালে আবিষ্কার করেন ডিফারেন্স ইঞ্জিন
 ১৮৩৩ সালে আবিষ্কার করেন এনালিটিক্যাল ইঞ্জিন
 এনালিটিক্যাল ইঞ্জিনে এসেম্বলি ভাষার প্রয়োগ ঘটান – লেডি এডা অগাস্টা ল্যাভেরন ( তিনি ইতিহাসে প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামার )
৬।  কম্পিউটার (প্রথম)-
 পৃথিবীর প্রথম স্বয়ংক্রিয় গণনা যন্ত্র , প্রথম বৈদ্যুতিক কম্পিউটার – মার্ক -১ । এটি ১৯৩০ সালে নির্মিত । এই কম্পিউটারে কোন ভ্যাকুয়াম ভালভ ব্যবহার করা হয়নি । এটি সম্পূর্ণ তড়িৎযান্ত্রিক রিলের উপর নির্ভর করে নির্মান করা হয়েছিল ।নির্মাতা-হাওয়ার্ড আইকেন এবং আইবিএম ।
 ভ্যাকুয়াম টিউব ব্যবহার করে বাইনারী গণনা ভিত্তিক প্রথম কম্পিউটার – এবিসি কম্পিউটার ( ১৯৩৯ ) ।  পূর্ণ নাম- Atanasoff Berry Computer .
 প্রথম পূর্ণাঙ্গ ইলেক্ট্রনিক কম্পিউটার – ENIAC-1 | এনিয়াক-১ ( ১৯৪৬) । নির্মাতা- মাউসলি এবং এনিয়াক
 আধুনিক কম্পিউটারের জনক – জন ভন নিউম্যান  (সংরক্ষিত প্রোগ্রামের উদ্ভাবক )
 প্রথম উদ্ভাবিত সংরক্ষিত প্রোগ্রাম বিশিষ্ট ইলেক্ট্রনিক কম্পিউটার - EDSAC ( Electronic Delay Storaged Automatic Computer ) . এই কম্পিউটারে মেমোরি হিসেবে ডিলে স্টোরেজ ব্যবহার হয় । 
 বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদিত প্রথম ইলেক্ট্রনিক এবং ডিজিটাল কম্পিউটার – উনিভ্যাক-১ ( ১৯৫১ )
 ট্রানজিস্টর ভিত্তিক প্রথম কম্পিউটার – TX-O  .  ট্রানজিস্টর ভিত্তিক প্রথম মিনি কম্পিউটার – PDP-8
  [ এখানে উল্লেখ যে , ১৯৪৮ সালে ট্রানজিস্টর আবিষ্কৃত হয় । ২ টি অর্ধপরিবাহী ডায়োড দিয়ে যে অর্ধপরিবাহী ট্রায়োড তৈরি করা হয় তাই ট্রানজিস্টর । ট্রানজিস্টর মুলত এমপ্লি ফায়ার হিসেবে কাজ করে ।  এছাড়াও বলা হয়ে থাকে যে , ১৯৪৮ সাল থেকেই ইলেকট্রনিক্সের বিপ্লব শুরু হয় । ট্রানজিস্টরের আবিষ্কারক- বারডেন , শকলে , ব্রাটেইন  ]
 ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট ভিত্তিক প্রথম কম্পিউটার – B2500 & B3500 | IC দিয়ে তৈরি  প্রথম ডিজিটাল কম্পিউটার – IBM SYSTEM 360 
    [ উল্লেখ যে, IC আবিষ্কৃত হয় ১৯৫৮ সালে । আবিষ্কারক জ্যাক কেলবি ]
 প্রথম মাইক্রোপ্রসেসর ( ইনটেল ৪০০৪ ) – ১৯৭১ সালে টেড হফ আবিষ্কার করেন ।
 মাইক্রোপ্রসেসর ভিত্তিক প্রথম কম্পিউটার – Altair -880 ( 1975 ) 
     [ উল্লেখ যে , Altair -880 তে  ইনটেল ৮০৮০ ব্যবহার করা হয়েছিল । এছাড়াও  মাইক্রোকম্পিউটারের জনক বলা হয় হেনরি এডওয়ার্ড কে ]
৭। বাংলাদেশে প্রথম কম্পিউটার আসে ১৯৬৪ সালে।
৮। ১৯৮১ সালে বাজারে আসে আই.বি.এম কোম্পানির পার্সোনাল কম্পিউটার বা পিসি।
৯। বাংলাদেশে কম্পিউটার বিকাশ ও সফটওয়্যারঃ 

বাংলাদেশে কম্পিউটার ব্যবহারের সূচনা হয় ষাটের দশকে এবং নববই-এর দশকে তা ব্যাপকতা লাভ করে। দশকের মধ্যভাগ থেকে এ দেশে তথ্য প্রযুক্তি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করতে শুরু করে। পাকিস্তান পরমাণু শক্তি কমিশনের পরমাণু শক্তি কেন্দ্র, ঢাকা-তে ১৯৬৪ সালে স্থাপিত হয় বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) প্রথম কম্পিউটার। এটি ছিল আইবিএম (International Business Machines - IBM) কোম্পানির 1620 সিরিজের একটি মেইনফ্রেম কম্পিউটার (Mainframe Computer)। যন্ত্রটির প্রধান ব্যবহার ছিল জটিল গবেষণা কাজে গাণিতিক হিসাব সম্পন্নকরণ।
ষাটের দশকের শেষ দিকে তদানীন্তন হাবিব ব্যাংক IBM 1401 কম্পিউটার এবং ইউনাইটেড ব্যাংক IBM 1901 কম্পিউটার স্থাপন করে। প্রধানত ব্যাংকের যাবতীয় হিসাব-নিকাশের জন্য ব্যবহূত এসব কম্পিউটার ছিল তৃতীয় প্রজন্মের মেইনফ্রেম ধরনের।
স্বাধীনতার পূর্বে, ১৯৬৯ সালে পরিসংখ্যান ব্যুরোতে স্থাপিত হয় একটি IBM 360 কম্পিউটার। আদমজী জুট মিলেও এ সময় একটি মেইনফ্রেম কম্পিউটার স্থাপিত হয়েছিল।

কম্পিউটারে প্রথম বাংলা লেখা সম্ভব হয় ১৯৮৭ সালে এবং এ সাফল্যের কৃতিত্ব মাইনুল ইসলাম নামক একজন প্রকৌশলির। তিনি নিজের উদ্ভাবিত বাংলা ফন্ট ‘মাইনুলিপি’ ব্যবহার করে অ্যাপল-ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে বাংলা লেখার ব্যবস্থা করেন। মাইনুলিপির পর পরই ‘শহীদলিপি’ ও ‘জববারলিপি’ নামে আরও দুটো বাংলা ফন্ট উদ্ভাবিত হয় এবং একই পদ্ধতিতে ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে ব্যবহূত হয়। পরবর্তী বছরে অর্থাৎ ১৯৮৮ সালে আনন্দ কম্পিউটার্স নামক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে তৈরি হয় অ্যাপল-ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে ব্যবহার উপযোগী প্রথম ইন্টারফেস ‘বিজয়’। এ সময়েই প্রথম বাংলা কি-বোর্ড লে-আউট তৈরি হয়। প্রথম পর্যায়ের বাংলা কি-বোর্ডগুলির মধ্যে ‘বিজয়’ এবং ‘মুনীর’ উল্লেখযোগ্য।
=বাংলাদেশে প্রথম কম্পিউটার স্থাপিত হয়- ১৯৬৪ সালে পরমাণু শক্তি কমিশনে ,ঢাকা
=প্রথম কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিভাগ চালু হয় -১৯৮৪ সালে ( বুয়েটে )
=বাংলা ভাষাতে প্রথম কম্পিউটার বিষয়ক মাসিক পত্রিকা-কম্পিউটার জগত ( ১৯৯১ সালে প্রকাশিত )
=প্রথম ইন্টারনেট চালু হয় -১৯৯৬ সালে
=প্রথম ইন্টারনেট ভিত্তিক নিউজ এজেন্সি -বিডি নিউজ

                                   তথ্য প্রযুক্তির বড় প্রতিষ্ঠান
                                   -------------------------

আই বি এম ( IBM )
-----------------------

 ১৯১১ সালে প্রতিষ্ঠিত ।
  সদর দপ্তর নিউইয়র্কের আর্মংকে
 আই বি এম কে বিগ ব্লু বলা হয়
 IBM PC AT  একটি দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার । AT = ADVANCE TECHNOLOGY
 আইবিএমের বিখ্যাত আবিষ্কারসমূহের মধ্যে এটিএম, হার্ড ডিস্ক, ফ্লপি ডিস্ক উল্লেখযোগ্য।

 মাইক্রোসফট
------------------
 ১৯৭৫ সালে বিল গেটস, পল অ্যালেন প্রতিষ্ঠা করেন
 মাইক্রোসফটের অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার শুরু হয় – আশির দশকে
 বর্তমান সিএইও – সত্য নাদেলা  এবং বর্তমান চেয়ারম্যান-জন ডব্লিউ থমসন (চেয়ারম্যান)
 সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের রেডমন্ড শহরে অবস্থিত
 ১৯৭৫ সালের ৪ এপ্রিল মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠিত হয়

গুগল
---------
 গুগল সার্চ ইঞ্জিনের, অনলাইন বিজ্ঞাপন সেবা এবং ক্লাউড কম্পিউটিংএর জন্য বিশ্বখ্যাত
 প্রধান কার্যালয় ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেইন ভিউ শহরে অবস্থিত
 গুগলের মূলমন্ত্র হল "বিশ্বের তথ্য সন্নিবেশিত করে তাকে সবার জন্য সহজলভ্য করে দেয়া”।  গুগলের অপ্রাতিষ্ঠানিক মূলমন্ত্র হল "Don't be evil" (মন্দ হইয়ো না)
 গুগল প্রথম ইনকর্পোরেট হয় প্রাইভেট কোম্পানী হিসেবে ১৯৯৮ সালের ৪ই সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় ।
 সদর দপ্তর- মাউন্টেন ভিউ, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
 পেজ এবং ব্রিন শুরুতে নতুন সার্চ ইন্জিনের নাম রাখে "ব্যাকরাব" । পরে নাম চেঞ্জ  করে রাখা হয় GOOGOL । কিন্তু ডোমেইন রেজিট্রেশন করা হয় Google শব্দ ব্যবহার করে ।
 জাভা ও পাইথন ভাষা ব্যবহার করা হয় ।
 গুগল প্লাস (+) চালু হয় ২০১১ সালে
 গুগল বাজ চালু হয় ২০১০ সালে

ইন্টেল
---------
 ১৯৬৮ সালে ১৮ জুলাইতে প্রতিষ্ঠিত
 সদর দপ্তর – ক্যালিফোর্নিয়ার সান্টা ক্লারাতে ।
 রবার্ট নয়েস এবং গর্ডন মুর এবং এন্ড্রু গুভ এরা ইন্টেলের প্রতিষ্ঠাতা ।
 প্রথম দিকে এর নাম ছিল এন এম ইলেট্রনিক্স

অ্যাপল
----------
 ১৯৭৬ সালে ১ এপ্রিলে প্রতিষ্ঠিত হয়
 প্রতিষ্ঠাতা- স্টিভ জবস , রোনাল্ড ওয়েইন , ওজনিয়াক
 ম্যাকিন্টশ সফটওয়্যার তৈরী করে । 
 আধুনিক কম্পিউটারের মধ্যে রয়েছে আইম্যাক, ম্যাকবুক এয়ার, ম্যাকবুক প্রো ও দ্য ম্যাকবুক
 প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের অপারেটিং সিস্টেম আই ওএস-র মাধ্যমে তৈরী করে আইফোন, আইপ্যাড এবং আইপড
 প্রতিষ্ঠানটি গান শোনার সফটওয়্যার আইটিউন্স এবং মাল্টিমিডিয়া ও ক্রিয়েটিভ সফটওয়্যার আইলাইফ তৈরী করে।
 তাদের ইন্টারনেট ব্রাউজার সাফারি

ওরাকল কর্পোরেশন
------------------------
 ১৯৭৭ সালে ল্যারি এল্লিসোন প্রতিষ্ঠা করেন ।

=======================
নোট করেছেনঃ শেষ কক্ষপথের প্রোটন
=======================

--------------------------------------------
#প্রকারভেদ ( কম্পিউটার , প্রজন্ম , পার্ট )
=========================

১। গঠন এবং ক্রিয়ানীতির উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয় । যেমন , এনালগ , ডিজিটাল , হাইব্রিড ।
           --এনালগ কম্পিউটার মোটর গাড়ির স্পিডোমিটার , পাইড রুল , অপারেশনাল অ্যামপ্লিফায়ারে ব্যবহার
                করা হয় ।
           --সাধারণত আমরা যে কম্পিউটার ব্যবহার করি তা মূলত ডিজিটাল কম্পিউটার ।
           --এনালগ এবং ডিজিটাল কম্পিউটার মিলে তৈরী হয় হাইব্রিড কম্পিউটার ।
           -- হাইব্রিড কম্পিউটারে ইনপুট এনালগ এবং আউটপুট ডিজিটাল প্রকৃতির হয় ।
           -- হাসপাতালে রোগীর রক্তচাপ , হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া , শরীরের তাপ মাপতেয়ে হাইব্রিড কম্পিউটার
                ব্যবহার হয় । এছাড়াও পরমাণু শক্তি উৎপাদনের প্লান্টে , জঙ্গি বিমানে , মহাকাশযানে ,
                ক্ষেপণাস্ত্রে হাইব্রিড কম্পিউটার ব্যবহার হয় ।

২। আকার ,আয়তন , আকৃতি এবং ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারকে ৪ ভাগে ভাগ করা হয় । যেমন ,

     [ সুপার কম্পিউটার ]
-----------------------------
 সূক্ষ্ম বৈজ্ঞানিক গবেষণা , বিপুল তথ্য বিশ্লেষণ , নভোযান , জঙ্গী বিমানে ,ক্ষেপণাস্ত্রে এবং মহাকাশ গবেষণাতে সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করা হয় ।
 বিষবের দ্রুততম সুপার কম্পিউটার – তিয়ানহে -২ ( চীন )
 পরম – আবিষ্কার করেন ভারত
 বাংলাদেশে কম্পিউটার কাউন্সিল ল্যাবে অবস্থিত সুপার কম্পিউটার-IBM RS/6000 SP

          [মেইনফ্রেম কম্পিউটার]
---------------------------------------
 মেইনফ্রেম কম্পিউটার ব্যাংক বীমা , অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার হয় । গবেষণা কাজেও ব্যবহার হয় । 
 এর সাথে অনেক গুলো ডাম্ব টার্মিনাল যুক্ত করা যায় ।
 ১৯৬৪ সালে বাংলাদেশের পরমাণু শক্তি যুক্ত কম্পিউটারটি ছিল মেইনফ্রেম কম্পিউটার
         [মিনি কম্পিউটার]
 মেইনফ্রেম কম্পিউটারের থেকে ছোট কম্পিউটারকে মিনি কম্পিউটার বলে । কর্মপদ্ধতি একই ।

         [ মাইক্রোকম্পিউটার ]
-------------------------------------
 পার্সোনাল কম্পিউটারকে মাইক্রোকম্পিউটারও বলে । একে পিসিও বলে । যেমন , ডেস্কটপ , ল্যাপটপ ,নেটবুক ,ট্যাবলেট ,হেল্ডহেল্ড বা পামপিসি বা পামটপ ( একে পিডিএ বলা হয় । যার অর্থ পকেট পিসি )
৩। কম্পিউটার প্রজন্মকে ৫ ভাগে ভাগ করা হয় ।

           [প্রথম প্রজন্ম]   
-------------------------------------
 ভ্যাকিউয়াম টিউব ব্যবহার করা হয় ।
 পাঞ্চকার্ডের মাধ্যমে ইনপুট আউটপুট দেওয়া হয়
 প্রোগ্রাম রচনাতে সংকেত ব্যবহার করা হয় ।
 উদাহরণঃ ENIAC , EDSAC , UNIVAC , MARK

              [২য় প্রজন্ম]
-------------------------------------
 ট্রানজিস্টর ব্যবহার করা হয়
 ম্যাগনেটিক কোর মেমোরি ব্যবহার করা হয়
 ফোরট্রান এবং কবল ভাষা ব্যবহার করা হয় ।
 উদাহরণঃ IBM 1401 , IBM- 1620 , IBM-1600

              [ ৩য় প্রজন্ম ]
-------------------------------------
 IC ব্যবহার করা হয়
 সেমি কন্ডাক্টর মেমোরি ব্যবহার করা হয়
 উচ্চতর প্রোগ্রামিং ব্যবহার করা হয় ।
 উদাহরণঃ IBM -360 , PDP-8

               [৪র্থ প্রজন্ম ]
---------------------------------------
 VSLI ব্যবহার করা হয় ।
 মাইক্রোপ্রসেসর ব্যবহার করা হয়
 মাল্টিপ্রফেস সিস্টেমের আবির্ভাব ঘটে ।
 অবজেক্ট অরিয়েন্টড প্রোগ্রাম এবং কাস্টমাইজ সফটওয়্যার ব্যবহার শুরু হয় ।
 উদাহরণঃ IBM-PC , IBM -3033 , HP-3000

              [৫ম প্রজন্ম]
--------------------------------------
 কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং রোবটিক প্রযুক্তির বিকাশ লাভ করে ।

৪। কম্পিউটার হার্ডওয়ার্ডের মধ্যে কয়টি অংশ আছে ? – ৩ টি  [ ইনপুট ইউনিট , সিপিউ , আউটপুট ইউনিট ]
৫।সিপিউ কে কম্পিউটারের ব্রেইন বলে । সিপিউ কে ৩ ভাগে ভাগ করা হয় । যেমন , গাণিতিক যুক্তির ইউনিট ,নিয়ন্ত্রণ ইউনিট ,রেজিস্টার ।  কম্পিউটারের CPU এর মধ্যে গাণিতিক যুক্তির অংশকে (ALU=Arithmetic Logic Unit ) মূলত কম্পিউটারের মস্তিষ্ক বলে । এছাড়া রেজিস্টার এক ধরণের মেমোরি যা মাইক্রোপ্রসেসরের অভ্যন্তরে ব্যবহার করা হয় , প্রক্রিয়াকরণের সময় রেজিস্টারে অল্প কিছু তথ্য সংরক্ষণ হয়ে থাকে। উল্লেখ যে  সিপিউ (CPU )= Central Processing Unit বলে । 
৬।  মাদারবোর্ডঃ কম্পিউটার সিস্টেমের সকল উপাদান প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে যে সর্ববৃহৎ সার্কিটবোর্ডের সাথে যুক্ত থাকে তাকে মাদারবোর্ড বলে ।  একে সিস্টেম বোর্ডও বলে । এটি মূলত প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড (PCB=Printed Circuit Board ).
৭।  কম্পিউটারের সাথে যুক্ত কোন ডিভাইসের সাথে প্রসেসরের যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যবহৃত হয়- অ্যাডাপ্টার কার্ড
৮। একাধিক কম্পিউটারের মধ্যে নেটওয়ার্কিং এর জন্য ব্যবহার হয় – LAN Card ( LAN = Local Area Network )
৯। মনিটরের ডিসপ্লে কেমন হবে তা নির্ভর করে  VGA / AGP Card এর উপর ।


No comments