Search Here

Breaking News

মুজিবনগর দিবস

 ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস 
বাংলাদেশের ইতিহাসে অনন্য এক দিন।১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এদিনে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথগ্রহণ করে। পরে এই বৈদ্যনাথতলাকেই ঐতিহাসিক মুজিবনগর হিসেবে নামকরণ করা হয়।
এ দিন ঘোষিত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন ও অনুমোদন করা হয়।
ঘোষণাপত্রে সংবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত
১।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি ও
২।সৈয়দ নজরুল ইসলামকে প্রজাতন্ত্রের উপ-রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়াও
৩।তাজউদ্দিন আহমেদ অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী,
৪।খন্দকার মোশতাক আহমেদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী,
৫।ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ মনসুর আলী অর্থমন্ত্রী এবং
৬।এ এইচ এম কামারুজ্জামান স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী ,
জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী অস্থায়ী সরকারের মুক্তিবাহিনীর প্রধান কমান্ডার নিযুক্ত হন।
লে. কর্ণেল ( অব.) আব্দুর রব চিপ অব স্টাফ
গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ . কে. খন্দকার ডেপুটি চিপ অব স্টাফ নিযুক্ত হন

মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রাণালয় ছিল ১২ টি । সামরিক - বেসামরিক সকল কার্যক্রয় সহ যাবতীয় প্রশাসন পরিচালিত হয় এসব বিভাগের মাধ্যমে ।

১১ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ দেশবাসীর উদ্দেশে বেতার ভাষণ দেন, যা আকাশবাণী থেকে একাধিকবার প্রচারিত হয়। তাজউদ্দিনের ভাষণের মধ্যদিয়েই দেশ-বিদেশের মানুষ জানতে পারে বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম পরিচালনার লক্ষ্যে একটি আইনানুগ সরকার গঠিত হয়েছে। এই পথপরিক্রমায় ১৭ এপ্রিল সকালে মুজিবনগরে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথগ্রহণের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
উল্লেখ্য , ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের শপথের ২ ঘণ্টা পর পাকিস্তানি বিমান বাহিনী মুজিবনগরের বোমা বর্ষণ করে ও মেহেরপুর দখল করে নেয় । ফলে মুজিবনগর সরকারের সদর দপ্তর ৮নং থিয়েটার রোডে স্থানান্তর করা হয় যা শেক্সপিয়র সরণি নামেও পরিচিত ।

১৭ এপ্রিল সকালে মুজিবনগরে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথগ্রহণের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রতিষ্ঠা লাভ করে।অস্থায়ী সরকার / মুজিবনগর সরকারের সফল নেতৃত্বে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।

No comments