google.com, pub-7361094524734381, DIRECT, f08c47fec0942fa0 সংক্ষেপে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের ইতিহাস। - Job's Preparation BD

Search Here

সংক্ষেপে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের ইতিহাস।

দুধ-ভাত পরীক্ষা
______________

#১ম_বিশ্বযুদ্ধ
(অাগে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেন। না পারলে নিচের পাঠটুকু পড়ে উত্তর দেন)
.
প্রশ্নগুলোর উত্তর দেনঃ
১। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ কবে অারম্ভ হয়?
২। অস্ট্রিয়ার যুবরাজকে কে হত্যা করে?
৩। অস্ট্রিয়ার যুবরাজ কোন শহরে সফরত ছিলেন?
৪। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় অামেরিকার প্রেসিডেন্ট কে ছিল?
৫। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অস্ট্রিয়া, তুরস্ক কোন পক্ষে ছিল?
৬। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অামেরিকা ১৪ দফা কোন মাসে দেয়?
৭। জার্মানী অাত্মসমর্পণ কবে করে?
৮। দ্বিতীয় ভার্সাই চুক্তি কবে হয়?
৯। কোন চুক্তিকে "Treaty of Peace" বলা হয়?
১০। ১ম বিশ্বযুদ্ধে পর্তুগাল, সার্বিয়া, ফ্রান্স কোন পক্ষে ছিল?

.
☛ সময়কালঃ (২৮ শে জুলাই, ১৯১৪– ১১ ই নভেম্বর , ১৯১৮)
☛ কারণঃ অনেক গুলো কারণের মধ্যে একটি কারণ ২৮ শে জুন বসনিয়া-হর্জেগোভিনার সারায়েভো শহরে অস্ট্রিয়ার যুবরাজকে হত্যা। যার ফলে অস্ট্রিয়া ও হাঙ্গেরী ২৮ শে জুলাই যুদ্ধ ঘোষণা করেন ।

(ঘটনার বিবরণঃ অস্ট্রিয়ার হবু সম্রাট ও সম্রাজ্ঞী, আর্কডিউক ফার্ডিনান্ড এবং সুন্দরী সুফ্যি, বসনিয়া সফরে গেলেন ২৮ জুন, ১৯১৪। রাজধানী সারায়েভোতে যুবরাজ দম্পতি। গাবরিলো প্রিন্সিপ নামে এক আততায়ীর হাতে প্রাণ হারালেন, অস্ট্রিয়ান যুবরাজ দম্পতি। এই দুটো খুন হয়ে উঠল আরো কোটি প্রাণ নেয়ার কারণ। মজার ব্যাপার হল সে সম্পর্কে নিতান্তই অজ্ঞ ছিল বিশ্ববাসী। Curious mind wants to know, গাবরিলো প্রিন্সিপ ও কি জানতো, সে কি ভয়াবহ দুর্যোগের সূচনা করেছিলো?

গাবরিলো প্রিন্সিপ অস্ট্রীয় নাগরিক হলেও জাতি হিসেবে সার্ব ছিলেন। তাই অস্ট্রিয়া সার্বিয়াকে জানাল, এর যথার্থ বিচার চাই। আমাদের যুবরাজ দম্পতি হত্যার ক্ষতিপূরণ চাই। সার্বিয়া কিছু শর্ত মানলো, কিছু মানলো না। অস্ট্রিয়া ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিলো এবং সময়ও ফুরিয়ে গেল।

২৮ জুলাই, ১৯১৪ ইং তারিখে অস্ট্রো-হাঙ্গেরি যুদ্ধ ঘোষণা করলো সার্বিয়ার বিরুদ্ধে। অস্ট্রিয়াকে জোর সাপোর্ট দিল জার্মানি।

এদিকে রাশিয়া সার্বিয়ার বন্ধু রাষ্ট্র। তাই সার্বিয়ার পক্ষে এলো মিত্র শক্তি (Allied Power) ফ্রান্স, বৃটেন, ইতালি, জাপান (একমাত্র এশীয় সক্রিয় দেশ)। জার্মানি সহ অস্ট্রিয়ার সাথে ছিল Central Power হিসেবে অটোমান সাম্রাজ্য এবং বুলগেরিয়া।)

☛ আমেরিকার প্রেসিডেন্টঃ ১ম বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন ড. উড্রো উইলসন (২৮ তম)।
☛ অক্ষ শক্তিঃ হাঙ্গেরী, বুলগেরিয়া, অস্ট্রিয়া, তুরস্ক, জার্মানী । মনে রাখার নিয়ম: হাবুল অতুর কে জামা উপহার দিল ।
☛ মিত্র শক্তিঃ রাশিয়া, জাপান, রোমানিয়া, বেলজিয়াম, ব্রিটেন, গ্রীস, সার্বিয়া, পর্তুগাল, ফ্রান্স । মনে রাখার নিয়ম: রাজা মেয়ে রোমা ও বেবিকে নিয়ে গ্রীসে সাপের ফ্রাই খেতে গেল ।

ফ্রান্স, বৃটেন, রাশিয়া সহ বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্র গুলোর জড়ানোর পেছনে আরো কিছু কারণঃ
☛ শিল্প বিপ্লবের ফলে কাঁচামাল সংগ্রহ ও তৈরি পণ্য বিক্রির জন্য উপনিবেশ স্থাপনের অসম প্রতিযোগিতা;
☛ পূর্ব শত্রুতা
☛ জার্মানির উত্থানকে ভালো চোখে না দেখা
☛ জার্মানির উগ্রতা ইত্যাদি

যুদ্ধটা আরও ভয়াবহ হলো যখন জার্মানি আমেরিকা কে আঘাত করল আর আমেরিকাও মিত্র শক্তির পক্ষ নিয়ে যুদ্ধে নেমে এল।  ইতিহাসের ভয়ংকর আর নৃশংসতম সময় ছিল ৪ বছরের চেয়ে বেশি এই সময় টা! অবশেষে, সারা বিশ্বকে ধ্বংস স্তুপ করার পর, ১১ নভেম্বর ১৯১৮ সালে জার্মানির আত্মসমর্পনের মাধ্যমে শেষ হয়েছিল এ মহাযুদ্ধ।

#১ম_বিশ্বযুদ্ধের_ফলাফলঃ
✏ রোমান, অটোমান, অস্ট্রিয়ান সাম্রাজ্যের পতন
✏ নতুন করে কিছু স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা

ক্ষয়ক্ষতি
☛ নিহত হন ৯০ লাখ সৈন্য এবং ৫০ লাখ সাধারন নিরীহ মানুষ
☛ আহত হন ১ কোটি সৈন্য এবং ২ কোটা ১০ লাখ সাধারন মানুষ
☛ প্রত্যক্ষ ব্যয় হয় ১৮৬ বিলিয়ন ডলার এবং পরোক্ষ ব্যয় প্রায় ১৫১ বিলিয়ন ডলার

#১ম_বিশ্ব যুদ্ধের পরের যুদ্ধঃ
১ম বিশ্বযুদ্ধে কেন্দ্রীয় শক্তির সাথে একে একে রাশিয়া, জাপান, রোমানিয়া, বেলজিয়াম, ব্রিটেন, গ্রীস, সার্বিয়া, পর্তুগাল, ফ্রান্স (রাজা মেয়ে রোমা ও বেবিকে নিয়ে গ্রীসে সাপের ফ্রাই খেতে গেল) মিত্র শক্তি হয়ে সার্বিয়ার পাশে আসতে গিয়ে ভয়ংকর যুদ্ধে নামে।

এর পরের ঘটনাঃ
অক্টোবর, ১৯১৮
জার্মানি তার উগ্রতার মাশুল টের পাচ্ছিল। হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারলো, সব কিছুর বাড়াবাড়ির পরিণতি। আমেরিকা কে প্রস্তাব দিল যুদ্ধ বিরতির। আমেরিকা দিল ১৪ দফা।

নভেম্বর ১৯১৮:
১১ নভেম্বর জার্মানি আনুষ্ঠানিক ভাবে যুদ্ধ বন্দ্ধের ঘোষনা দিয়ে আত্মসমর্পণ করে।

২য় ভার্সাই চুক্তি: (২য় বিশ্ব যুদ্ধের বীজ)
১৯১৯ সালের জুন মাসের ২৮ তারিখ।
মিত্র শক্তির ৪ নেতা (U.K, U.S.A, FRANCE, ITALY) সহ সবাই মিলিত হলো ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীতে।

বলা হয়ে থাকে, কোন কিছুতেই খুব বেশী বাড়াবাড়ি কখোনই ভালো কিছু বয়ে আনেনা। তারই সত্যতা মিললো। সব দোষ জার্মানিকে দেয়া হলো। এটুকু হয়তো ঠিক ছিলো, কিন্তু এর পরের ঘটনা গুলোই মূলত আরেকটা যুদ্ধের বীজ বপন করেছিল।

☛ জার্মানিকে যুদ্ধাপরাধী ঘোষণা করা হলো।

☛ জার্মানির অনেক অংশ প্রায় ১০% হারে মিত্র শক্তি গ্রহণ করে নিল।

☛ ফ্রান্স, পোল্যান্ড, বেলজিয়াম সহ অনেক রাষ্ট্রই জার্মানির থেকে অংশ গ্রহণ করলো।

☛ জার্মান কলোনী গুলো বৃহৎ শক্তিধর দেশগুলো ভাগ ভাটোয়ারা করে নিলো।

☛ জার্মানির অন্যতম বন্দর, কলোনি (Cameroon,Togo,Ruanda,Urundi etc) নিয়ে নিলো।

☛ জার্মানীকে বিশাল অংকের জরিমানা দিতে বাধ্য করা হলো, এ জরিমানা কিস্তি হারে দিতে হবে বলে জানানো হলো।
আরও শর্ত দেয়া হলো যে-
☛  সেনা বাহিনী সর্বোচ্চ ১ লাখ আর নৌবাহিনী ১৫০০০ রাখা যাবে।
☛  কোন ধরনের অস্ত্র আমদানি রপ্তানি করা যাবেনা।

মোট কথা, জার্মানিকে এক রকম আত্মঘাতী চুক্তিতে সই করতে বাধ্য করা হলো।

১৯১৯ সালের ২৮ জুন, স্বাক্ষরিত হলো এই চুক্তি। যার নাম দেয়া হল Treaty of Peace. যা পরবর্তিতে শান্তির পরিবর্তে অশান্তি আর রোষের জন্ম দিলো।

১৯২০ সালের ১০ জানুয়ারি,
কার্যকর হলো এই চুক্তি আর সাথে বিশ্ব শান্তির জন্য প্রতিষ্ঠা করা হলো Leage of Nations বা সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ। জাতিপুঞ্জ কতটা শান্তি রক্ষা করতে পেরেছে, তা বিশ্ববাসী টের পেয়েছে প্রায় ১৯/২০ বছর পর।

ভার্সাই চুক্তির ফলাফলঃ
চুক্তির তাৎক্ষণিক ফলাফল হলো ::::::::::::::::::::::
☛  জার্মানি একদম পথে বসে গেল।
☛  অরজিনাল জার্মানরা মনে মনে ক্ষোভ পুষতে লাগলো, সুযোগের অপেক্ষায় রইলো।
☛  জার্মানি অল্প দিনেই দেউলিয়া হয়ে পড়লো।
☛  জার্মানির অর্থনিতীতে ধস নামলো।
☛  আর মিত্র শক্তির মূল নেতারা এই ভেবে খুশি হলো ভালো শায়েস্তা করা হয়েছে।

No comments